হালাল পথে ইনকাম করার সেরা উপায় - সেরা ২০টি উপায়

আপনি যদি অনলাইন থেকে হালাল পথে ইনকাম করতে চান এবং আপনি এই বিষয়ে জানতে চান যে হালাল পথে ইনকাম করার উপায় কোন কোনগুলি তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ আপনার জন্য তাই আর দেরি না করে কি বিষয়ে জানতে হলে আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
হালাল পথে ইনকাম করার সেরা উপায়
আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেল ডেম মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন কিভাবে হালাল পথে ইনকাম করবেন এবং এর উপায় অথবা হালাল ইনকামের জন্য কোন স্কিল টা সবচেয়ে ভালো হবে আবার এর থেকে ইনকাম করা কি হালাল নাকি হারাম সে সকল বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচীপত্র : এই পোস্টের যে অংশ থেকে পড়তে চান, সেই অংশে ক্লিক করুন

হালাল পথে ইনকাম করার সেরা ২০টি উপায়ঃ ভূমিকা

বর্তমান সময়ে কিন্তু প্রত্যেকটি মানুষ অনলাইন থেকে ইনকাম করে তাদেরকে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করছে কিন্তু আপনি এ বিষয়ে কিন্তু সচেতন না যে তারা কি আসলে হালাল পথে ইনকাম করছে নাকি হারাম পথে। আপনি যখন চাচ্ছেন যে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করবেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না যে অনলাইন থেকে ইনকাম করলে কোনটি হারাম হবে অথবা কোনটি হারাম।

এই জিনিসটা না বুঝার কারণে কিন্তু অনেকে ভুল বুঝে থাকে এবং তার ভেতর অধিকাংশ মানুষ হারাম পন্থায় অনলাইন থেকে ইনকাম করে আবার অনেক মানুষ রয়েছে যারা হালাল পন্থায় থেকে ইনকাম করে কিন্তু আপনি যদি চান যে হালাল পথে থেকে ইনকাম করতে তাহলে আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনাকে উদ্দেশ্য করে।

সকলের মত আপনিও যদি চান বাসায় বসে থেকে হালাল পথে অনলাইন থেকে কিছু টাকা উপার্জন করে নিজের জীবন যাপন করতে তাহলে এর পরিপূর্ণ সুযোগ রয়েছে আপনি কিন্তু খুব সহজে অনলাইন থেকে হালাল পথে অধিকাংশ টাকা করতে পারবেন তবে সব কাজ কিন্তু হালাল নয় কিছু কাজ রয়েছে হালাল এবং কিছু কাজ রয়েছে হারাম আর সেটা নিয়েই আমি নিচের টপিক আলোচনা করব।

হালাল পথে ইনকাম করার সেরা উপায়

আপনি যদি একজন মুসলিম ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার মনের সব সময় এই ইচ্ছা টি থাকে যে আমি হালাল পথে কিছু টাকা ইনকাম করব আর তাদের জন্যই আমার আজকের এই আর্টিকেল তাই আর দেরি না করে নিচের দিকে লক্ষ্য করুন নিচে আমি বেশ কয়েকটি হালার কথা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করলাম।

১। মিল্ক ফ্যাক্টরিঃ আপনি যদি হালাল পথে টাকা উপার্জন করে দ্রুত ধনী হতে চান তাহলে এটা আপনার জন্য বেস্ট হবে তবে এখানে কিন্তু আপনাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে এবং পরবর্তীতে এই টাকা থেকে আপনার ব্যবসা অনেক বড় হয়ে যাবে যদি আপনি হালকা নিয়মে সঠিক পর্যায়ে ব্যবসাটি করেন।

২। ফ্রিল্যান্সিংঃ অনলাইন থেকে হালাল পথে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কাজ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং আপনি কিন্তু চাইলে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কাজ এবং এই কাজটি করে খুব সহজে কোটিপতি হওয়া যায় এবং এই কাজটি সম্পূর্ণভাবে হালাল তবে আপনাকে অবশ্যই হালাল পর্যায়ে করতে হবে।

৩। ফটো এডিটঃ ফটো এডিট করে আয় করা এটা কিন্তু সম্পূর্ণভাবে হালাল একটি কাজ হবে কোন খারাপ ধরনের ফটো এডিট করা যাবে না ভালো এবং ইসলামিক দৃষ্টিতে যেই ফটো এডিট গুলো করা উচিত সেগুলো করে আপনি ইনকাম করতে পারেন তবে হ্যাঁ ইসলামে কিন্তু অপ্রয়োজনে ফটো তোলা উচিত না। প্রয়োজন ছাড়া কেউ যদি ফটো তুলে সেটা এডিট করতে চাই তাহলে সে ক্ষেত্রে হারাম হবে।

৪। ইউটিউবিং করেঃ ইউটিউবিং করে কিন্তু অনেক সহজে টাকা ইনকাম করা যায় তবে ইউটিউব ইন করে হালাল পথে ইনকাম করতে গেলে কিন্তু অবশ্যই আপনাকে ইউটিউবে ইসলামিক কন্টেন ভিডিও বানাতে হবে এবং সেখান থেকে যদি টাকা ইনকাম করতে পারেন তাহলে সেটি হালাল উপার্জন হবে।

৫। মুদিখানার দোকানঃ আপনি গ্রামে অথবা শহরে বড় কোন মুদিখানা দোকান অথবা ছোট মুদিখানা দোকান দিয়ে কিন্তু হালাল উপায়ে ব্যবসা করতে পারবেন এবং মুদিখানার দোকান দিয়ে কিন্তু অনেক টাকা ইনকাম করা যায় তবে অবশ্যই আপনার লক্ষ্যটা হতে হবে হালাল উপায়ে টাকা ইনকাম করা তাহলে আপনি মুদিখানা দোকান দিয়ে হালাল উপরে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৬। আইসক্রিম বিক্রি করেঃ আপনি চাইলে কিন্তু গরমের সময় আইসক্রিম বিক্রি করতে পারেন আইসক্রিম পেস্ট্রি করার ব্যবসাটি ইসলামিক দৃষ্টিতে এসব হালাল একটি কাজ আপনি চাইলে কিন্তু আইসক্রিমের ব্যবসা করে খুবই সহজে টাকা ইনকাম করতে পারেন তবে হ্যাঁ আইসক্রিমে কোন দুই নাম্বার জিনিস মিশিয়ে সেটি মানুষের কাছে বিক্রি করা যাবে না সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ইনকাম টি হারাম হবে।

৭। ব্লগিংঃ বর্তমানে সবচেয়ে সহজ এবং ভালো কাজ হচ্ছে ব্লগিং আর ব্লগিং করে খুবই সহজে কিন্তু টাকা ইনকাম করা যায় কিন্তু আপনাদের ভিতরে প্রশ্ন থাকে যে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা কি হালাল নাকি হারাম আসলে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করা হালাল হবে যদি আপনি হালাল উপায়ে ইনকাম করেন।

আর যদি আপনি হারা মোবাইল ইনকাম করেন তাহলে হবে না যেমন ধরেন ব্লগিং এমন কোন বিষয় নিয়ে পড়ছেন যেগুলো ইসলামিক দৃষ্টিতে একদমই উচিত না তাহলে কিন্তু সেটা আপনার জন্য হারাম ব্লগিং করে ইনকাম করা হালাল হবে যদি সেটি হয় পরিপূর্ণভাবে ইসলামিক ব্লগিং অথবা ইসলামিক দৃষ্টিতে যেগুলো করা যাবে সেই নিয়মে।

৮। লাইব্রেরিঃ আপনি চাইলে কিন্তু লাইব্রেরী দিতে পারেন এবং লাইব্রেরীতে বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক বই অথবা অন্য কোন বই বিক্রি করতে পারেন তবে কোন খারাপ বই বিক্রি করা যাবে না যেগুলোতে ইসলামিক দৃষ্টিতে খারাপ কিছু রয়েছে। আপনি কিন্তু চাইলে লাইব্রেরির ব্যবসা করতে পারেন এটি ইসলামের হালাল তবে আপনার ইনকাম টি সঠিক নিয়মে হতে হবে।

৯। ফল মূল বিক্রিঃ আপনি চাইলে বড় ফলমূলের দোকান দিতে পারেন যেগুলোতে আপনি ফলমূল বিক্রি করবেন এবং কিছু সংখ্যক টাকা উপার্জন করবেন। ইসলামিক দৃষ্টিতে ফলমূল এর ব্যবসা করা হালাল রয়েছে আপনি চাইলে ব্যবসা করতে পারেন তবে অবশ্যই ফলমূলের ব্যবসা করতে গিয়ে দাড়ি মেরে মানুষকে ঠকানো যাবে না তাহলে কিন্তু এটি হারাম হয়ে যাবে।

ইসলামিক দৃষ্টিতে যেভাবে ব্যবসা করা উচিত সেভাবে আপনাকে ফলমূলের ব্যবসা করতে হবে তাহলে এটি আপনার জন্য হালাল হবে। তাই আপনি চাইলে কিন্তু ফলমূল বিক্রি করে খুবই সহজে একটি ভালো মাউন্টের টাকা উত্তোলন করতে পারেন কারণ এটি সম্পূর্ণ ভাবে ইসলামে হালাল করা হয়েছে।

১০। শাকসবজি বিক্রিঃ শাকসবজি বিক্রি করে কিন্তু অনেক টাকা উপার্জন করা যায় এবং ইসলামিক দৃষ্টিতে এটি হালাল করা হয়েছে তাই কেউ যদি চায় তাহলে শাক সবজি বিক্রি করে ইসলামিক পন্থায় টাকা ইনকাম করতে পারে। তাই আপনার কাছে যদি ব্যবসা করা হয় উপায় না থেকে থাকে তাহলে কিন্তু আপনি শাক সবজির ব্যবসা করতে পারেন এই ব্যবসা কিন্তু সারা বছর জুড়ে হয়।

১১। ই-কমার্সঃ ই-কমার্স ব্যবসা করা কিন্তু হালাল হবে এবং হারাম দুটোই হবে কিন্তু আপনি কোন পথে করবেন সেটা সম্পূর্ণভাবে আপনার ওপর নির্ভর করবে। আপনি যদি সঠিকভাবে একটি কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট বিক্রি করেন এবং প্রোডাক্টটি সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেন তাহলে এখান থেকে ইনকাম করা আপনার সম্পূর্ণভাবে হালাল।

আর আপনি যদি কোন প্রডাক্ট সেল করার জন্য টাকা নিয়ে থাকে কিন্তু সে কাস্টমারটির কাছে প্রোডাক্টটি না পৌঁছে দিন তাহলে কিন্তু ইসলামিক দৃষ্টিতে ব্যবসাটি আপনার জন্য হারাম হবে তাই আপনি যদি হালাল পথে ইনকাম করতে চান তাহলে কিন্তু আপনি ই-কমার্স ব্যবসা করতে পারেন।

১২। গবাদি পশু ব্যবসাঃ আপনি চাইলে কিন্তু গরু-ছাগল ইত্যাদি যে সকল গবাদি পশুগুলো রয়েছে সেবা অধিপশুর ব্যবসা করতে পারেন যেমন কোন একটি পশু কিনে সেটিকে কিছু পরিমাণ লাভ করে বিক্রি করে দিতে পারেন এক্ষেত্রে কিন্তু ইসলামিক দৃষ্টিতে এটি হালাল ব্যবসা। তাই এই ব্যবসাটি আপনি চাইলে করতে পারবেন।

১৩। ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ বর্তমান সময়ে কিন্তু অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট গুলো হচ্ছে এবং সেগুলো দেখে অনেক মানুষ ওয়েবসাইট খুলছে এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের ব্লগিং অথবা কাজকর্ম করছে আপনি যদি একজন কোডিং এক্সপার্ট হন তাহলে কিন্তু আপনি চাইলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করতে পারেন এবং ওয়েবসাইট বিক্রি করতে পারেন এটা কিন্তু সম্পূর্ণভাবে হালাল কিন্তু আপনার ব্যবসাটি অবশ্যই হালাল পথে হতে হবে।

১৪। কৃষিকাজঃ ইসলামিক দৃষ্টিতে কৃষিকাজ-হালাল একটি কাজ কিন্তু সেই হিসেবে দেখা যায় কৃষকদের বেতন অনেক কম তাতে কোন সমস্যা নেই কিন্তু আপনি চাইলে কিন্তু কৃষি কাজ করতে পারেন কৃষিকাজ ইসলামিক দৃষ্টিতে হালাল কাজ।

১৫। যানবাহন চালানোঃ আপনি যদি একটি অটো বা অটো রিস্কা অথবা ট্যাক্সি যে দেশের মানুষ যে ভাষা বোঝেন আর কি এক কথায় যানবাহনে আমরা উঠে কিন্তু অনেক সময় অনেক গাড়ি গাড়িতে উঠে আমরা চলাফেরা করি এবং গাড়ি ওয়ালাকে কিছু টাকা দেই এই কাজটা কিন্তু হালাল আপনি চাইলে কিন্তু গাড়ি চালাতে পারেন গাড়ি চালানো ইসলামিক দৃষ্টিতে হালাল কাজ।

১৬। মাদ্রাসায় পড়ানোঃ মাদ্রাসা কিন্তু আপনি ছেলে পেয়ে সকলকে পড়াতে পারেন এবং আপনি কুরআনের শিক্ষা প্রত্যেকটি শিশুদের অথবা শিক্ষার্থীদের দিতে পারেন এটা কিন্তু ইসলামের সবচেয়ে হালাল একটি কাজ কারণ আপনি যদি একটি মানুষকে কুরআন শিখান তাহলে কিন্তু এতে করে আপনার অনেক সওয়াব হবে।

তাই আপনি যদি চান যে আপনি একজন আলেম হবেন এবং বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য দিয়ে বেড়াবেন ইসলামিক বিষয়ে অথবা মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রী পড়াবেন তাহলে কিন্তু পড়তে পারেন এটা কিন্তু ইসলামিক দৃষ্টিতে অনেক ভালো একটি কাজ এবং আপনি বুঝতেই পারছেন এটি সম্পূর্ণভাবে হালাল একটি কাজ।

১৭। জামা কাপড় বিক্রিঃ ছেলেমেয়েদের সকল পোষাক-আসার বিক্রি করতে পারেন ইসলামিক দৃষ্টিতে এটি হালাল তবে ইসলামিক দৃষ্টিতে যে সকল পোশাকগুলো মানুষের ব্যবহার করা উচিত নয় সেই পোশাকগুলো যদি আপনি বেচেন তাহলে কিন্তু এটি হারাম ভাবে আপনি কিন্তু চাইলে ইসলামিক দৃষ্টিতে যে পোশাকগুলো হালাল এই পোশাকগুলো বিক্রি করে এখান থেকে হালাল উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

১৮। জুতার ব্যবসাঃ জুতার ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করা কিন্তু সম্পূর্ণভাবে হালাল একটি কাজটা কেউ যদি চায় যে হালাল পথে টাকা ইনকাম করবে তাহলে কিন্তু সে জুতার ব্যবসা করতে পারে তবে হ্যাঁ অবশ্যই আপনার ব্যবসাটি হতে হবে ইসলামিক কথা অনুযায়ী।

১৯। দর্জির কাজঃ এটা চাইলে কিন্তু ছেলে-মেয়ে উভয় করতে পারে এটা হালাল কাজ কারণ ইসলামিক দৃষ্টিতে জামা পরিধান করার সকলের জন্য জায়েজ তাই এ কাজটাও অবশ্যই হালাল তবে আপনি দর্জির কাজ করলে কিন্তু অবশ্যই সেটা আপনার হালাল উপায় করতে হবে হারাম পথে করা যাবে না।

২০। গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ বর্তমান সবসময় সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কাজ হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ যে কাজটি করে সকলে স্বাবলম্বী হচ্ছে এবং আপনিও এই কাজটি করতে চাচ্ছেন কিন্তু জানেন না যে এটি হালাল নাকি হারাম কাজ আসলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ সম্পূর্ণভাবে হালাল তবে আপনি যদি এটা হারাম উপায়ে করেন তাহলে হারাম হবে কিন্তু আপনি চাইলে কিন্তু এটি হালাল উপায়ে করতে পারেন।
বিদ্রঃ আমি এই টপিকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে ২০টি উপায় আপনাকে বললাম এই উপায়গুলো অবশ্যই হালাল পথে ইনকাম করার উপায় হালাল পথে যদি ইনকাম করতে চান তাহলে এই উপায় গুলোর মধ্যে যে কোন একটি উপায় ব্যবহার করতে পারেন তবে একটা কথা সবসময় মাথায় রাখবেন আপনি যেই ব্যবসায়ী করেন না কেন ব্যবসা অথবা কাজ দুটোর ভেতরে কিন্তু হালাল এবং হারাম রয়েছে তাই এখানে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি কোন পদ্ধতিতে টাকা ইনকাম করবেন হালাল নাকি হারাম। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

হালাল ইনকাম এর জন্য কোন স্কিল সবচেয়ে ভাল

আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে চান যে হালাল ইনকামের জন্য কোন স্কিলটা সবচেয়ে ভালো এবং বেস্ট তাহলে আমি বলব সবচেয়ে ভালো একটি উপায় হবে ইসলামিক বিষয়ে স্কিল গড়ে তোলা অর্থাৎ ধরুন আপনি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করলেন এবং কোরআন সম্পর্কে সকল দক্ষতা অবলম্বন করলেন এটাই হবে আপনার জন্য সেরা স্কিল।

কারণ ইসলামিক দৃষ্টিতে সবচেয়ে ভালো কাজ মনে হয় এটাই যে ইসলামিক বিষয়ে সঠিক এবং পরিপূর্ণভাবে ধার্মিক জ্ঞান অর্জন করা এবং এই জ্ঞান মানুষের কাছে প্রচার করা এবং ইসলামের জন্য সকল সকলকে দাওয়াত দেওয়া আশা করি আপনার এই প্রশ্নের উত্তরটা আপনি পেয়ে গেছেন।

এড দেখে টাকা ইনকাম কি হালাল

এড দেখে টাকা ইনকাম করা এটা কি হালাল নাকি হারাম এ বিষয়ে কিন্তু অনেকের কাছে অনেক ধরনের প্রশ্ন রয়েছে আর সেই প্রশ্নের উত্তর আমি এখন আপনাকে দিয়ে দিচ্ছি। বন্ধুরা অ্যাড দেখে ইনকাম করা এটা সম্পূর্ণ নির্ধারণ করে আপনার কনটেন্ট এর উপরে কারণ আপনি যদি কোন অশ্লীল কন্টেন্ট তৈরি করেন সে ক্ষেত্রে কিন্তু এড অশ্লীল দেখাবে।

আর অশ্লীল এড দেখে টাকা ইনকাম করা এটা ইসলামিক দৃষ্টিতে সম্পূর্ণরূপে হারাম আপনি যদি এড দেখে হালাল উপায়ে টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার কন্টেনটা ইসলামিক হতে হবে অথবা ইসলামিক দৃষ্টিতে যে রকম হওয়া উচিত সেরকম হতে হবে তাহলে এখান থেকে যদি ভালো অ্যাড দেখায় ইসলামিক অ্যাড দেখায় তাহলে সে ক্ষেত্রে ইনকাম করা হালাল।

আপনার ভালো লাগতে পারে এমন কিছু পোস্টঃ

আবার আপনি যদি খারাপ কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকেন যেগুলো আমি দৃষ্টিতে বিক্রি করা উচিত না এবং ওই সকল প্রোডাক্টের যদি আপনার ভিডিওতে অথবা কন্টেইনের ভেতরে এড দেখানো হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার দেখে ইনকাম করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। আপনার এড যদি ইসলামিক দৃষ্টিতে ভালো হয় তাহলে এর থেকে টাকা ইনকাম করা হালাল হবে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

ফেসবুকের ইনকাম কি হালাল

আপনি কি ফেসবুক থেকে ইনকাম করছেন ভিডিও দেখানোর মাধ্যমে কিন্তু এটা নিয়ে আপনি খুবই চিন্তিত যে আমার ফেসবুক থেকে ভিডিও দেখিয়ে ইনকাম করা হয় নাকি হারাম হচ্ছে? তার চলুন সেই প্রশ্নটার উত্তর দেওয়া যাক। দেখুন ফেসবুক থেকে আপনি হালাল এবং হারাম দুই উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন এটা নির্ভর করবে সম্পূর্ণভাবে আপনার উপর।

আপনি ফেসবুকে যে ধরনের ভিডিওগুলি অর্থাৎ কনটেন্টগুলো তৈরি করবেন এটা যদি ইসলাম সম্মত হয় তাহলে অবশ্যই এটি আপনার জন্য হালাল কিন্তু আপনি যদি আপনার কন্টেনে খারাপ কোন কাজ করেন যেগুলো ইসলামিক দৃষ্টিতে একদমই উচিত না তাহলে সেই ক্ষেত্রে ফেসবুক থেকে আপনার ইনকাম করা হারাম হবে।

আবার আরেকটি উপায় কিন্তু ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায় সেটি হচ্ছে ই-কমার্স ব্যবসা। এই ব্যবসায়ী কিন্তু আপনাকে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট এর সেল করতে হয় এই ক্ষেত্রে যদি আপনি প্রোডাক্ট সেল করেন এবং আপনার কাস্টমারকে প্রোডাক্টটি না দেন অর্থাৎ দুই নাম্বারি করে তাহলে এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ফেসবুক থেকে ইনকাম করা হারাম।

আপনি যদি একটি কাস্টমারকে ভালোভাবে একটি ভালো পণ্য বিক্রি করেন এবং সেই পণ্যটি কাস্টমারের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দেন। তাহলে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা এটা আপনার সম্পূর্ণ হালাল ইনকাম হবে। দেখুন ই-কমার্স ব্যবসা কিন্তু দুই ধরনের করা যায় এক নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করা আর নয়তো অন্যের প্রোডাক্ট বিক্রি করে প্রফিট করা।

এখানে দুটোই হালাল তবে আপনাকে অবশ্যই বাটপারি না করে প্রোডাক্টগুলো পৌঁছে দিতে হবে তাহলে এটা আপনার জন্য হালাল হবে। আশা করি আপনি এখন বুঝতে পেরেছেন যে ফেসবুক থেকে হালাল ইনকাম কোনগুলো এবং হারাম ইনকাম কোনগুলো এখন আপনি নিজের দিকে লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন আপনি হালাল টাকা ইনকাম করছেন নাকি হারাম।

ইউটিউব থেকে আয় কি হালাল

অনেকের ভেতরেই এই প্রশ্নটা থেকে থাকে যে ইউটিউব থেকে যারা আয় করে তারা কি আসলে বা হারাম পথেই করে নাকি হালাল পথে এখন এ প্রশ্নটা শুধু আপনার মাঝে নয় প্রত্যেকটি মানুষের ভেতরে রয়ে যায় আর এ প্রশ্নটা দূর করার জন্য আজকে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। ইউটিউব থেকে কিন্তু হালাল এবং হারাম দুইটা পথেই ইনকাম করা যায়।

এখন আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে আপনি কি হালাল পথে ইনকাম করবেন নাকি হারাম পথে ইনকাম করুন দেখুন আপনি যদি ইউটিউবে প্রোডাক্ট এর রিভিউ করে প্রোডাক্ট সেল করেন এবং সেই প্রোডাক্টটি আপনার কাস্টমারের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে না দেন তাহলে এখান থেকে কিন্তু ইনকাম করা আপনার জন্য হারাম হয়ে যাবে।

আবার আপনি যদি সেটা না করে সঠিকভাবে একটি কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট রিভিউ করে সেই প্রোডাক্টটি তার কাছে পৌঁছে দেন তার টাকা মেরে না নেন তাহলে সে ক্ষেত্রে কিন্তু ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করা সম্পূর্ণভাবে হালাল। তাছাড়াও কিন্তু একটা দিক রয়েছে যে পন্থায় থেকে টাকা ইনকাম করা হারাম আর সেই দিকটি অবশ্যই লক্ষ্য করতে হবে।

সেটা হচ্ছে দেখতে পাবেন যে আপনারা যখন ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিওর মাঝে এড দেখায় সেই এডের ভিতরে কিন্তু ভালো অ্যাড রয়েছে এবং খারাপ রয়েছে এখন আপনার ভিডিওতে যদি খারাপ এড গুলো চালানো হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে ইউটিউব থেকে আপনার উপার্জন করা পরিপূর্ণভাবে হারাম হয়ে উঠবে।

এবার আপনার ইউটিউবে চ্যানেলের যদি কোন ভিডিও আপলোড করেন সেই ভিডিওর ভিতরে যদি ভালো এড দেখানো হয় যেগুলোতে ইসলামিক এড অথবা ইসলাম যে সকল এড কে সম্বোধন করে এক কথায় বলা যায় ইসলামিক নিয়মের ভেতরে যদি কোন অ্যাড আপনার ভিডিওর মাধ্যমে দেখানো হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার সেখান থেকে ইনকাম করা সম্পূর্ণভাবে হালাল।

তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন ইউটিউব থেকে ইনকাম করা হালাল এবং হারাম দুটোই রয়েছে কিন্তু কোনটার মাধ্যমে আপনি আয় করবেন সেটা আপনার নিজস্ব ব্যক্তিগত ব্যাপার তবে এড দেখানো ক্ষেত্রে এটা কিন্তু আপনি নিজস্ব করতে পারেন না তাই এই ক্ষেত্রে ইউটিউব থেকে ইনকাম করা কিন্তু হারাম হতে পারে যদি খারাপ অ্যাড দেখানো হয়।

শেষ কথাঃ হালাল পথে ইনকাম করার সেরা উপায় - সেরা ২০টি উপায়

প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি আমাদের এই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে শেষ করেছেন আর যদি না পড়ে থাকেন তাহলে এখনই গিয়ে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে আসুন আর হ্যাঁ কোন জায়গায় স্কিপ করে পড়বেন না পুরোটা মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে কিন্তু অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে আপনি হালাল হয়ে ইনকাম করবেন।

যদি আমাদের এই লেখাগুলির মাধ্যমে আপনি উপকারিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন লেখাগুলো আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনদের কাছে শেয়ার করে তাদেরকেও জানানোর সুযোগ করে দেওয়ার। এরকম নিত্য নতুন তথ্য পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট করতে পারেন অথবা পাশে থাকা গুগল নিউজ ফলো করতে পারেন।

ইনকাম সম্পর্কে যদি আরো তথ্য জানতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন। আজকে এ পর্যন্তই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এত দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে শেষ করার জন্য আপনাকে আপনাদের তরফ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url